এই মাত্র পাওয়া

যৌন নিপীড়ন মামলায় ট্রাম্পের ৮৩ মিলিয়ন ডলারের মানহানি রায় বহাল

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লেখিকা ই. জ্যাঁ ক্যারোলকে যৌন মানহানি করার দায়ে জুরি বোর্ডের দেয়া ৮৩.৩ মিলিয়ন ডলারের জরিমানার রায় সোমবার বহাল রেখেছে মার্কিন আদালত। ক্যারোলকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ট্রাম্প যৌন নিপীড়ন করেন। এই মর্মে আদালতে মামলা হওয়ার পর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পকে ৮৩.৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়। ওই রায়ে ট্রাম্পকে ৬৫ মিলিয়ন ডলার শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ, ৭.৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ এবং ক্যারোলের অনলাইন সুনাম ফিরিয়ে আনার জন্য ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে বলা হয়েছিল। সেই রায়ই বহাল রেখেছে আদালত। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

https://mzamin.com/uploads/news/main/179225_Abul-1.webp

এতে আরও বলা হয়, ট্রাম্পকে নিউইয়র্কের আরেকটি ফেডারেল দেওয়ানি মামলায় ক্যারোলকে যৌন নিপীড়নের দায়েও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সেই সময় ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্যারোল, বিচারক এবং গোটা বিচার প্রক্রিয়াকে আক্রমণ করে অপমানজনক বার্তার বন্যা বইয়ে দেন। বিচারককে তিনি তখন ‘চরম অপব্যবহারকারী ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করেন।

মার্কিন আপিল কোর্টের (সেকেন্ড সার্কিট) রায়ে বলা হয়, জেলা আদালত যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে তাতে কোনো ত্রুটি নেই এবং মামলার অতিমাত্রায় ভয়াবহ ও নিন্দনীয় পরিস্থিতির আলোকে জুরিদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পূর্ণ যৌক্তিক। মিস ক্যারোলের বর্তমান বয়স ৮১ বছর। প্রথম ২০১৯ সালে তার ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলে ট্রাম্প তাকে মানহানি করেন বলে অভিযোগ করেন। তখন ট্রাম্প বলেন, তিনি ‘আমার যোগ্য নন।’ জুরিদের সামনে ট্রাম্পের ২০২২ সালের অক্টোবরের জবানবন্দি দেখানো হয়। সেখানে তিনি ক্যারোলের একটি ছবিকে নিজের সাবেক স্ত্রী মারলা ম্যাপলস ভেবেছিলেন। এটি তার দাবি- ক্যারোল তার ধরণের নন, এই বক্তব্যকে দুর্বল করে দেয়। ২০২৩ সালে আরেকটি ফেডারেল জুরি ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে ক্যারোলকে ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে। এরপর ২০২২ সালে ক্যারোলকে ট্রাম্প ‘পুরোপুরি প্রতারণা’ বলে আখ্যায়িত করে আবারও মানহানি করেন।

আপিল কোর্ট সোমবার রায়ে আরও বলেছে, আমরা জেলা আদালতের সাথে একমত যে ট্রাম্পকে মানহানি করা থেকে বিরত রাখতে জুরিদের অধিকার ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক শাস্তি আরোপ করায়। ট্রাম্পকে এই মামলায় উপস্থিত থাকতে বা সাক্ষ্য দিতে হয়নি। তবে তিনি এই মামলাকে ব্যবহার করেছেন গণমাধ্যমের ব্যাপক কাভারেজ তৈরির জন্য এবং নিজেকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে প্রচার করে ওই সময়ের আসন্ন নির্বাচনে হোয়াইট হাউসে ফেরার প্রচারণায় কাজে লাগিয়েছেন।


আজকের সেরা খবর গতকালের সেরা খবর